চুলের রােগ ও যত্ন :
চুলের রােগ ও যত্ন না নিলে বিভিন্ন অসুবিধা দেখা যায়, বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় । যেমন , চুলের আগা ফেটে যেতে পারে , চুল উঠতে থাকে , চুলে জট পাকিয়ে যেতে পারে , চুলে উকুন হয়ে থাকে , অসময়ে চুল পেকে যেতে পারে ইত্যাদি । এগুলির পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকে। যেমন , দীর্ঘদিন ধরে কোন রােগে ভুগলে , চুলের অযত্ন , ভেজাল তেল বা শ্যাম্পুর ব্যবহারে , পেটের রােগে দীর্ঘদিন ভুগতে থাকলে । সর্বপরি প্রচণ্ড মানসিক টেনশন থেকেও চুলের রােগ হয়ে থাকে ।
- অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয় ।
- বিশুদ্ধ তেল , শ্যাম্পু ব্যবহার করা , চুলের আগা মাঝে মাঝে ছেটে নেওয়া মাথায় হাল্কা ম্যাসাজ করা , ঠাণ্ডা জলে স্নান করা , মানের পর চুল ভাল করে মুছে শুকিয়ে নেওয়া চুলকে সজীব রাখে ।
- চুলের পুষ্টির জন্য কারিপাতা নারিকেল তেলে আধঘণ্টা ফুটিয়ে ঐ তেলটি মাথায় লাগাতে হবে ।
- পেয়ারার রস চুলে লাগালে চুলের পুষ্টি হয় ।
- যাদের চুল তৈলাক্ত তারা জলে কয়েকটা চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন । তারপর ওই জলে একটি গােটা লেবুর রস মেশান। জলটি ঠাণ্ডা হলে শ্যাম্পু করার পর এই জল । দিয়ে চুল ধুয়ে নিন ।
- যাদের চুল পেকে যাচ্ছে তারা সিলারি পাতা এক মুঠো নিয়ে জলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা রুন । তাতে একটি গােটা লেবুর রস দিয়ে সেই জলে মাথা ধুলে বিশেষ উপকার হবে ।
- রাত্রে শােয়ার আগে আমলা ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পাকার হাত থেকে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে ।
- যাদের চুল অনুজ্জ্বল তারা মাথায় নারকেলের দুধ লাগালে চুলের উজ্জ্বলতা
- মাথায় খুস্কি হলে দুই চামচ মেথি রাত্রে ভিজিয়ে রাখুন । সকালে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান ।
- মাথার খুক্তি সারাতে টক দই লাগিয়ে আধঘণ্টা ধরে হাল্কা মালিশ করুন ।
- মৌরি ভিজিয়ে রেখে বেটে মাথায় লাগালে খুস্কি সারে ।
চুল বড় করতে :
- শুকনাে আমলা শুদ্ধ নারিকেল তেলে ফুটিয়ে সেই তেলটি প্রত্যেক রাতে শােওয়ার আগে লাগান । সকালে ধুয়ে ফেলুন ইহা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
- লিভারের সঙ্গে রূপের সম্পর্ক নিবিড় । তাই লিভার যাতে ভাল থাকে সে দিকে বিশেষ যত্ন নেওয়া । প্রয়ােজন । লিভার ভাল হলে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ।
- সকালে খালি পেটে কালমেঘ , উচ্ছের রস , চিরতার রস যে কোন একটি নিয়মিত খেলে লিভার ভাল থাকে । এছাড়া পেঁপে , গাঁদাল পাতা , পলতা পাতা খাওয়া খুবই উপকারি ।
- তাছাড়া তাজা শাক সবজি , নারিকেল , বাদাম ও বাদাম জাতীয় খাবার খেলে লিভার তথা সৌন্দর্য রক্ষা হয় ।
স্থুলতা:
মােটা হলে:- প্রত্যহ নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করুন এবং প্রতিদিনের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিন – ঘি , মাখন , তেল মিষ্টি প্রােটিন যতটা সম্ভব কম থাকে । শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে । ঘণ্টায় ঘণ্টায় খাবার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে । ভাজাভুজি , কফি বা চা যতটা সম্ভব কম খাওয়া ভাল ।
**টক দই ও ঘােল খাওয়া উচিত । প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ লেবুর রস একটু গরম জলে মিশিয়ে পান করা খুব ভাল । হঠাৎ খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত নয় । তাছাড়া প্রতিদিন কিছুটা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত ।
কৃশতা :
রােগা থেকে মােটা হওয়ার উপায় ও প্রত্যহ কিছুটা ব্যায়াম করা উচিত । রাত্রে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমােতে হবে । দুপুরে ভাত খাবার পর আধঘণ্টা ঘুমাতে পারলে খুব ভাল হয় । দুপুরে একটু ঘুমােলে কাজ করার উৎসাহ বাড়ে । খিদে পেলেই যতটা খেতে পারেন খাবেন । ঘুম থেকে উঠে চা খাবার অভ্যাস না করা উচিত । খাবার বেশি খাওয়াটাই । বড় কথা নয় , দেখতে হবে খাবার ঠিকমতাে হজম হচ্ছে কিনা । প্রত্যহ সারা শরীরে ভালকরে তেল মালিশ করতে হবে এবং সারাদিন খাবারের মধ্যে যেন শারীরিক প্রয়ােজন মত সকল খাদ্যগুণ বর্তমান থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে । এছাড়া মানসিক দিক দিয়ে টেনশন মুক্ত থাকতে হবে ।